কারি পাতার সাতটি উপকারিতা - Jana Dorkari Bangla

Breaking

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

কারি পাতার সাতটি উপকারিতা

যে সাতটি উপকারিতার জন্য কারি পাতা নিয়মিত সেবন করবেন

রান্নাঘরে কারি পাতা একটি পরিচিত নাম। ভারতীয় রান্নায় বিশেষ করে তরকারি, মাছ এবং মাংসের ঝোলে সুগন্ধের জন্য কারিপাতা ব্যাবহার করা হয়। এছাড়া কারি পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আসুন কারিপাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই 

কারি পাতা

কারি পাতার মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন অনান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগত উপাদান আছে যা কারি পাতাকে সুপারফুড করে তোলে। কারিপাতা হজম ক্ষমতার, চোখের দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের উজ্জলতার উন্নতি করতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন এবং চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 


১) হজমে সহায়তা করাঃ

আমাদের শরীরের পাকস্থলি থেকে খাবার হজম করার জন্য বিভিন্ন ধরণের উৎসেচক নির্গত হয়। এই উৎসেচকগুলি খাদ্যকণাকে ভাঙ্গতে সাহায্য করে। কারিপাতা শরীরে বেশি মাত্রায় হজমের উৎসেচক নির্গত করতে সাহায্য করে। ফলে বদহজম, গ্যাস, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য মতো সমস্যাগুলি কমাতে সাহায্য করে।


২) ওজন হ্রাস করেঃ 

কারি পাতা শরীর থেকে বিপাকীয় দূষিত পদার্থগুলো বের কতে দিতে সহায়তা করে। কারিপাতা নিয়মিত সেবনে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া কমাতে পারে এবং শরীরে বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে।


৩) চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করেঃ

কারি পাতা প্রতিদিন সেবন করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। কারণ কারিপাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং প্রোটিন যা মাথার ত্বকে পুষ্টির যোগান দেয়, ফলে চুল পড়া কম হয়ে এবং চুলের অকালপক্কতা হ্রাস পায়।


৪) রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করেঃ

কারি পাতার মধ্যে এমন কিছু যৌগ আছে যেগুলি ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে। যাদের ডায়েবেটিস অথবা প্রিডায়েবেটিস আছে, তাদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রন করার জন্য খাদ্যতালিকায় নিয়ন্ত্রিত কারিপাতা রাখা যেতে পারে।


৫) হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্যঃ

প্রতিদিন সকালে কারি পাতা সেবন করে দিন শুরু করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে অনেকটা  সাহায্য করে। কারি পাতা শরীরের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের ক্ষতিকারক মাত্রা কমিয়ে স্বাভাবিক আনতে সাহায্য করে। কারিপাতার  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভাওকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।


৬) ডিটক্সিফাই করেঃ

কারি পাতা লিভার এবং রক্ত থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। কারিপাতার প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশনের মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 


৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ

কারি পাতায় ভিটামিন এ, বি, সি এবং উপস্থিত থাকে, এর জন্য কারিপাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য কারি পাতা নিয়মিত সেবনে শরীরে সাধারণ সংক্রামণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে আরে।

কারি পাতা

কারি পাতা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ এবং রোগ নিরাময় করতে পারে না। সুতরাং রোগ নির্নয়, রোগ প্রতিরোধ বা নিরময় করার জন্য আপনার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালের চিকিৎসকের পরমর্শ নিন।


#curry leaf, #healthy, #natural antioxident, #sugar control

কোন মন্তব্য নেই: