ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফল, আহা কি সুন্দর প্রাণবন্ত এর গোলাপী ত্বক আর আছে অসংখ্য কালো বিন্দু যুক্ত সাদা অথবা লাল শ্বাস। এই বিদেশি ফলটি শুধুমাত্র স্বাদে নয় হজমে সহায়ক, রোগ প্রতিরোধক এবং অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তবে অসংখ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও অনেক শরীরের জন্য এটি সহায়ক নাও হতে পারে। আসুন জেনে নিই বিস্তারিতভাবে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতাঃ
(1) হজম ক্ষমতা উন্নত করেঃ
প্রিবায়োটিক আমাদের শরীরে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক ফাইবার আছে।
(2) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেঃ
ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এবং ফ্লাভনয়েডস দ্বারা পরিপূর্ণ। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
(3) হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নীত করেঃ
ড্রাগন ফল ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা পরিপূর্ণ যা কার্ডিওভাস্কুলার ক্ষমতা উন্নত করে। লাল শ্বাস যুক্ত ড্রাগনফলে উপস্থিত বিটালাইনস খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। ড্রাগন ফলের বীজ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা সমৃদ্ধ যা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
(4) শরীরে জল এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনঃ
ড্রাগন ফলে 40% বেশী তরল উপাদান থাকার জন্য এই ফল গ্রহণ করলে শরীরে জলের ভারসাম্য বাজায় থাকে। এছাটা এই ফল শরীরে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত ইলেক্ট্রোলাইটের চাইদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
(5) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনঃ
ড্রাগন ফলে উপস্থিত পলিফেনন এবং ফাইবার শরীরে গ্লুকোজ শোষণের হার ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল ইনসুলিন সংবেদশীলতা উন্নত করতে যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতাঃ
(১) অসংখ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্রনিক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে ড্রগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তার এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
(২) এছাড়া এলার্জি, নিন্মরক্তচাপ, হজমের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যাক্তিরাও এই ফল খাওয়ার আগে ডাক্তার অথবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবেন
Disclaimer: স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সংক্রান্ত এই প্রবন্ধটি কেবল আপনাকে কিছু সাধারণ তথ্য দিয়ে থাকে। আপনি এই প্রবন্ধের তথ্যগুলিকে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতের বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করবেন না। আপনার স্বাস্থ্যের সমস্যা নির্ণয় এবং নিরাময়ের জন্য সর্বদা একজন স্বীকৃত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জরুরী সমস্যার জন্যা আপনার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা হাসপাতালে যোগাযোগ করুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন